লন্ডনে দাবায় সোনা জয়, খুদে চ্যাম্পিয়ন সর্বার্থ মানিকে সংবর্ধনা ধানুকা একাডেমিতে...
কলকাতা, ১১ জুলাই ২০২৫ — বাবা-মা দুজনেই চিকিৎসক। সেই পরিবারের একমাত্র সন্তান হয়ে চৌষট্টি খোপের দুনিয়ায় বাজিমাত করল খুদে প্রতিভা সর্বার্থ মানি। মাত্র ১০ বছর বয়সেই বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের অনূর্ধ্ব-১০ বিভাগে সোনা জিতে দেশে ফিরেছে সে। এই অসামান্য সাফল্যের জন্য শুক্রবার ধুনসেরি ধানুকা দিব্যেন্দু বড়ুয়া দাবা একাডেমির তরফ থেকে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলার প্রখ্যাত গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া এবং একাডেমির অন্যতম কর্ণধার অশোক ধণুকা। তাঁরা খুদে সর্বার্থের হাতে সংবর্ধনা তুলে দেন এবং তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানান।
সর্বার্থর মা স্বর্ণালী মানি জানান, "ছেলের প্রথম জন্মদিনেই ওর ঠাকুরদা একটি দাবার বোর্ড উপহার দিয়েছিলেন। তখনই খেলাটির সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। বিশ্বনাথন আনন্দের অনুরাগী আমার ছেলে ছোট থেকেই দাবার প্রতি আকৃষ্ট। মাত্র চার বছর বয়স থেকে তার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
অশোক ধণুকা জানান, "আমরা শুধু দাবাই নয়, বাংলার খেলাধুলার সার্বিক উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি। রাজারহাটে তৈরি হয়েছে একটি অত্যাধুনিক টেবিল টেনিস একাডেমিও। আমরা বিশ্বাস করি, বাবা-মায়ের মানসিক সহায়তা থাকলে প্রতিটি খুদে খেলোয়াড় বিশ্ব জয় করতে পারে।
এই কৃতিত্বপূর্ণ মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে ধানুকা ধুনসেরি দিব্যেন্দু বড়ুয়া দাবা একাডেমিতে আয়োজিত হয় একটি জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। যেখানে সর্বার্থের সাফল্যের কাহিনি শুনে উপস্থিত দর্শকরা হাততালিতে ফেটে পড়েন।
ছোট থেকেই এমন অর্জন নিঃসন্দেহে দেশের ক্রীড়াজগতের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। সর্বার্থর মতো শিশুদের সাফল্যই দেখিয়ে দেয়, সঠিক দিকনির্দেশ আর পরিবার ও প্রশিক্ষকের সহযোগিতা থাকলে অসম্ভবও সম্ভব।